তালাক হয়ে যাওয়ার পর স্বামী কোর্ট থেকে বেরিয়ে অটোতে বসলো, আর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সেই একই অটোতে এসে বসে পড়ল।
উদাস স্বামী দশ বছর একসঙ্গে থাকা স্ত্রী রৌনকের দিকে এক কাতর দৃষ্টিতে তাকাল।
রৌনক নিভে আসা হাসি দিয়ে বলল —
"বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত শেষ পথটা তোমার সাথেই যেতে চাই।"
স্বামী বলল — "ঠিক আছে!"
রাস্তায় যেতে যেতে স্বামী বলল —
"অ্যালিমনি (ভরণপোষণ) এর টাকা দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে দিয়ে দেবো।
বাড়িটাও বেচে দেবো। তোমার জন্যই তো বানিয়েছিলাম।
তুমি যদি জীবনেই না থাকো, তবে সেই বাড়ি দিয়ে কি করব আমি?"
রৌনক তাড়াহুড়ো করে বলল —
"বাড়ি কখনোই বেচো না।
আমাকে টাকা দেয়া লাগবে না।
প্রাইভেট চাকরি করছি, আমার আর মুন্নের খরচ হয়ে যায়।"
রৌনক নিভে আসা হাসি দিয়ে বলল —
"বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত শেষ পথটা তোমার সাথেই যেতে চাই।"
স্বামী বলল — "ঠিক আছে!"
রাস্তায় যেতে যেতে স্বামী বলল —
"অ্যালিমনি (ভরণপোষণ) এর টাকা দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে দিয়ে দেবো।
বাড়িটাও বেচে দেবো। তোমার জন্যই তো বানিয়েছিলাম।
তুমি যদি জীবনেই না থাকো, তবে সেই বাড়ি দিয়ে কি করব আমি?"
রৌনক তাড়াহুড়ো করে বলল —
"বাড়ি কখনোই বেচো না।
আমাকে টাকা দেয়া লাগবে না।
প্রাইভেট চাকরি করছি, আমার আর মুন্নের খরচ হয়ে যায়।"
হঠাৎ অটোওয়ালা ব্রেক কষলো, রৌনকের মুখ সামনে থাকা রেলিংয়ে ধাক্কা লাগার উপক্রম,
তখনই স্বামী হঠাৎ তার হাত ধরে তাকে বাঁচিয়ে দিল।
স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে রৌনক অশ্রুভরা কণ্ঠে বলল —
"আমরা আলাদা হয়ে গেছি, তবে তোমার যত্ন নেওয়ার অভ্যাসটা তো যায়নি!"
সে কিছু বলল না।
কিন্তু রৌনক কেঁদে ফেলল।
কাঁদতে কাঁদতে বলল —
"একটা কথা জিজ্ঞেস করি?"
স্বামী চোখ তুলে বলল —
"কি?"
রৌনক ধীরে ধীরে বলল —
"দুই বছর হয়ে গেল আমরা আলাদা থাকছি...
আমার কথা তোমার কখনো মনে পড়ত?"
স্বামী বলল —
"এখন বলেই বা কি লাভ?
এখন তো সব শেষ হয়ে গেছে না?
তালাক হয়ে গেছে।"
রৌনক বলল —
"এই দুই বছরে একবারও সেই ঘুমটা আর পাইনি...
যে ঘুম তোমার হাতকে বালিশ বানিয়ে হতো..."
কথা শেষ করে সে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল।
এসময় বাসস্ট্যান্ড চলে এসেছে।
দু’জন অটো থেকে নেমে দাঁড়াতেই স্বামী তার হাত ধরে ফেলল।
অনেকদিন পর স্বামীর স্পর্শ কব্জিতে অনুভব করে রৌনক আবেগে ভেসে গেল।
স্বামী বলল —
"চলো, নিজের বাড়িতে চলে যাই।"
এটা শুনেই রৌনক বলল —
"তালাকের কাগজগুলো তাহলে?"
স্বামী শান্ত গলায় বলল —
"ছিঁড়ে ফেলব।"
এটা শুনেই রৌনক হাউমাউ করে কেঁদে স্বামীর গলায় মাথা রাখল...
পেছনে আরেকটা অটোতে আসা স্বামী-স্ত্রীর আত্মীয়রা সবকিছু দেখে চুপচাপ কোনো কথা না বলে বাসে উঠে চলে গেল...
(নিজের সম্পর্ককে কখনোই আত্নীয়দেয় হাতে ছেড়ে দিও না,
নিজে সিদ্ধান্ত নিজেই নাও, নিজেদের মধ্যে কথা বলো,
ভুল হলে তা স্বীকার করো।)
( সংগৃহীত )
share your opinion Dhaka Dairy-regularly update all information about all contact information across Bangladesh.Our primary focus on Dhaka related information. এই পেজ টি আপনার বন্ধু ও পরিবারের সাথে শেয়ার করুন
তখনই স্বামী হঠাৎ তার হাত ধরে তাকে বাঁচিয়ে দিল।
স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে রৌনক অশ্রুভরা কণ্ঠে বলল —
"আমরা আলাদা হয়ে গেছি, তবে তোমার যত্ন নেওয়ার অভ্যাসটা তো যায়নি!"
সে কিছু বলল না।
কিন্তু রৌনক কেঁদে ফেলল।
কাঁদতে কাঁদতে বলল —
"একটা কথা জিজ্ঞেস করি?"
স্বামী চোখ তুলে বলল —
"কি?"
রৌনক ধীরে ধীরে বলল —
"দুই বছর হয়ে গেল আমরা আলাদা থাকছি...
আমার কথা তোমার কখনো মনে পড়ত?"
স্বামী বলল —
"এখন বলেই বা কি লাভ?
এখন তো সব শেষ হয়ে গেছে না?
তালাক হয়ে গেছে।"
রৌনক বলল —
"এই দুই বছরে একবারও সেই ঘুমটা আর পাইনি...
যে ঘুম তোমার হাতকে বালিশ বানিয়ে হতো..."
কথা শেষ করে সে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল।
এসময় বাসস্ট্যান্ড চলে এসেছে।
দু’জন অটো থেকে নেমে দাঁড়াতেই স্বামী তার হাত ধরে ফেলল।
অনেকদিন পর স্বামীর স্পর্শ কব্জিতে অনুভব করে রৌনক আবেগে ভেসে গেল।
স্বামী বলল —
"চলো, নিজের বাড়িতে চলে যাই।"
এটা শুনেই রৌনক বলল —
"তালাকের কাগজগুলো তাহলে?"
স্বামী শান্ত গলায় বলল —
"ছিঁড়ে ফেলব।"
এটা শুনেই রৌনক হাউমাউ করে কেঁদে স্বামীর গলায় মাথা রাখল...
পেছনে আরেকটা অটোতে আসা স্বামী-স্ত্রীর আত্মীয়রা সবকিছু দেখে চুপচাপ কোনো কথা না বলে বাসে উঠে চলে গেল...
(নিজের সম্পর্ককে কখনোই আত্নীয়দেয় হাতে ছেড়ে দিও না,
নিজে সিদ্ধান্ত নিজেই নাও, নিজেদের মধ্যে কথা বলো,
ভুল হলে তা স্বীকার করো।)
( সংগৃহীত )
share your opinion Dhaka Dairy-regularly update all information about all contact information across Bangladesh.Our primary focus on Dhaka related information. এই পেজ টি আপনার বন্ধু ও পরিবারের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments